The Mighty INDIA CALLING: ‘ব্যাক ওয়াটার’ অভিযান (পর্ব ৩২)

চমৎকার একটা ঘুম দেওয়ার পর সকালে ফুরফুরে মেজাজে ঘুম ভাঙ্গলো হাজারও পাখির কিচির মিচির ডাকে। আড়মোড়া ভেঙ্গে বিছানা ছেড়ে নেমে পড়লাম। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আমরা বের হয়ে পড়লাম নাশতা খাওয়ার উদ্দেশ্যে। অনেক চিন্তা ভাবনা করে গত রাতের সেই রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়লাম। দেখি আমাদের লোকজন আরও অনেকজন আছে। আমরা ওদের সাথে একটা টেবিল শেয়ার করে বসে পড়লাম। মেনু দেখে অর্ডার দিলাম চাপাতি আর ডাল ফ্রাই। অর্ডার দিয়ে অনেক্ষণ বসে রইলাম। আমরা হাহা হিহি করে হাসাহাসি করে দারুন গল্প জুড়ে দিলাম। গত রাতে ভালো করে দেখতে পারি নাই, দিনের আলোতে তাই চারপাশটা ভালো করে দেখলাম। আমরা যেখানে বসে আছি সেখানে ছনের চাল দেওয়া। পাশেই একটা টলটলে নীল পানির সুইমিং পুল। এখানকার হোটেলে বেশ কয়েকজন ভিনদেশি অতিথি আছে। তারাও সকালে খাওয়ার জন্য ফুল ফ্যামিলি সুদ্ধু খেতে নেমে এসেছে। ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাগুলো ছোটাছুটি করে বেড়াচ্ছে- আমরা খুব মজা পেলাম এইসব দেখতে দেখতে।

নাশতা খেয়ে বের হয়ে আসি আমরা। আমার খুব আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করছিলো। মোড়ের দোকানটায় গিয়ে কিনে নিলাম ‘আমুল আইসক্রিম’। ৩৫ রুপি আন্দাজে অনেক মজার আইসক্রিম। আইসক্রিম খেতে খেতেই হোটেলে ফিরে গেলাম। কিছুটা রেডি হয়ে নিলাম, তবে কোথায় যাবো এখনও কিন্তু জানি না। এরপর শুনলাম আমাদের আরেকটা যেই হোটেল আছে ‘রাজি হোমস’ সেটাতে কমিটি একটা মিটিং কল করেছে। আমরা সেখানে ছুটে গেলাম। আমরা সবাই দোতলার বারান্দায় লাইন ধরে বসলাম। আদিবা সবাইকে বললো, দুইটা অপশন আছে- আলাপুজা আর পুভার। আলাপুজায় যাওয়া বেশ সময় সাপেক্ষ সেক্ষেত্রে পুভারে যাওয়াটা ভালো অপশন। কমিটি গিয়ে কথা বার্তা বলে এসেছে, এখানে থেকে রিজার্ভ বাসে করে গিয়ে সব ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আবার এখানে ফিরে আসতে মোটমাট প্রত্যেকের ৪৫০ রুপি করে খরচ পড়বে। আমরা সবাই এই প্রস্তাবে রাজি হই। ঠিক হয় বাস ঠিক দুইটার সময় এসে হাজির হবে। আমরা যেখানেই যাই যেন সময়মত এসে বাস ধরতে পারি।

এই হোটেল থেকে বের হয়ে রুবাইদা ট্রপিকানার পমেগ্র্যান্ডে ফ্লেভারের জুস কিনলো। বড় সেই জুসের প্যাকেট হাতে নিয়ে আমরা কোথায় যাবো, কোথায় যাবো চিন্তা করতে লাগলাম। হাতে যেহেতু সময় বেশি নাই, তাই দূরে কোথাও না গিয়ে বিচে ঘোরাঘুরি করে আসার কথাতেই সবাই সায় দিলো। রুবাইদা হোটেলে চলে গেলো। আমি, অন্তরা আর মিম ঘুরতে গেলাম বিচের দিকে। রাতের বেলায় যেমন জমজমাট দেখেছিলাম বিচের পাশের দোকানপাট আর হোটেলগুলো, দিনের বেলা সেরকম নয়। প্রায় সবই ফাঁকা, লোকজন কম। আমরা প্রথমে হাঁটতে হাঁটতে গেলাম লাইট হাউজের দিকে। ভাঙ্গাচোরা একটা পুরানো লাইট হাউজ সমুদ্রের পাড়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে। লাইট হাউজের ছায়ায় বসে আমরা অনেক্ষন গল্পগুজব করলাম। নিরিবিলি চুপচাপ এই বিচে সমুদ্রের গর্জন শুনতে শুনতে পাথরের উপর হাত পা ছড়িয়ে অলস বসে থাকতে আমাদের ভালোই লাগছিলো। অনেক্ষণ পর আমরা উঠে পড়লাম। হাঁটতে লাগলাম দোকানগুলোর দিকে। একেকটা দোকানে ঢুকে আমাদের মাথা ঘুরে গেলো। একদম কাশ্মিরের শাল সোয়েটার থেকে শুরু করে মুক্তার সেট, রত্ন পাথর কি নাই এখানে! যা দেখি সেটাই পছন্দ হয়, কিন্তু দাম আকাশ্চুম্বী। আমরা তাই কোনকিছু কেনার কথা চিন্তা করছিলাম না। ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম একেক দোকান। এর মধ্যে সুমাইয়াকে দেখলাম নারিকেল দিয়ে বানানো একটা বানর কিনতে। বানরটা খুবই সুন্দর। শয়তানি ভরা কালো কালো চোখ দুইটা দিয়ে তাকিয়ে থাকে।

দেফ
বাটির মতন উল্টানো বৃত্তাকার ঢালু বিচ  (কৃতজ্ঞতায় রফিকুল ইসলাম তুষার)

আমরা তাড়াতাড়ি করে বিচ থেকে বের হয়ে আবার সেই আগের রেস্টুরেন্টে গেলাম। এবার শেয়ারে অর্ডার দিলাম ভাত, চিংড়ি মাসালা আর এগ নুডুলস। আমার খরচ পড়লো ১৮৫ রুপি। খুব মজা করে খেলাম আমরা। তাড়াতাড়ি করে খেয়ে আমরা দৌড় দিলাম হোটেলের দিকে। হোটেলে গিয়ে রুবাইদাকে নিয়ে আমরা দুইজনে একবারে বের হয়ে পড়লাম ২.৩০ টার দিকে। বাস এসে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে ঢালের অন্য প্রান্তে। পুরো ঢালটা আমাদের পায়ে হেঁটে পাড়ি দিতে হবে, তাও এই গরমের মধ্যে! ওকে, দিলাম না হয় পাড়ি- কি আছে জীবনে? এই বিশাল ঢাল বেয়ে উপরের দিকে উঠতে উঠতে আমাদের সব শক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছিলো। ভাগ্য ভালো ঢালটা খুব বেশি খাড়া নয়। তবে খুব বেশি খাড়া না হলেও অনেক বিশাল পথ পাড়ি দিতে আমাদের কষ্ট হচ্ছিলো কারণ মাথার উপর গনগনে সূর্য। গরমের কারনেই আমাদের দম বের হয়ে যাচ্ছিলো। অবশেষে আমরা ঢাল পাড়ি দিয়ে শেষ মাথায় এসে দেখি এক বিশাল বাস দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের দেখে ভিতর থেকে একজন কমবয়সী ছেলে বের হয়ে আসলো। আকারে ইঙ্গিতে বুঝলাম এটাই আমাদের বাস। আমরা ঘাড় ঘুরিয়ে চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম আর কেউই আসে নাই, খালি আমরা দুইজন।

আমি বাসের ভিতর উঠে দেখলাম চমৎকার বাস। দামি বাস বলতে যা বোঝায় আর কি- সেরকম বাস। মজার ব্যাপার হচ্ছে বাসের এক পাশে দুই সিটের রো আর অন্য পাশে তিন সিটের রো। আমি তাড়াতাড়ি করে দুই সিটের রোতে এক জায়গায় ব্যাগ রেখে সিট দখল করলাম। রুবাইদা গরমে টিকতে না পেরে নেমে গেলো। আমি বাসেই বসে রইলাম। আস্তে আস্তে সবাই আসতে লাগলো। সবাই উঠে পড়লে বাসে এসি ছেড়ে দিলো। আমরা খুশিতে চিৎকার করে উঠলাম। গোয়েলে চড়তে চড়তে বাসে যে এসি থাকতে পারে সেই বিষয়টাই ভুলে গিয়েছিলাম। আমাদের নিয়ে বাস চলতে শুরু করলো। আর সেই সাথে হাই ভলিউমে বাজতে লাগলো ধুমধাড়াক্কা সব গান। এরমাঝে আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয় ফাইনালি ৪০০ রুপি করে দিতে হবে পার হেড। শুনে আমরা আরেক দফা খুশি হয়ে গেলাম।

খুব বেশিক্ষন লাগলো না। আমরা পৌঁছে গেলাম পুভার। পুভারে আমরা যেই জায়গাটায় থামলাম তার নাম ব্যাক ওয়াটার। গাছপালা দিয়ে ঘেরা একটা জায়গার মাঝখানে একটা জলাশয় আছে। সেটাতে আমরা নৌকায় চড়ে পাড়ি দিবো। আমাদের জন্য তিন তিনটা নৌকা আসলো। নৌকাগুলো দেখতে কাশ্মিরি শিকারা নৌকার মতন লাগলো। আমরা টপাটপ করে উঠে বসলাম নৌকাগুলোতে। একটা নৌকায় আমি, শুভ, রিজভী, তুষার, রুবাইদা, রিন্তু, নিশাত, পৃথ্বী আর বাসিরুন চড়ে বসলাম। আমাদের প্রত্যেককে লাইফ জ্যাকেট পড়তে হলো। তারপর ভটভট করে ইঞ্জিন স্টার্ট হলো। চলতে শুরু করলো আমাদের তিন নৌকা। প্রচুর নারিকেল গাছসহ দুইপাশে নানা রকম গাছগাছালির ছায়ায় ঢাকা টলটলে সবুজ পানির উপর দিয়ে আমরা চলতে লাগলাম। পাখির কিচিরমিচির আর পানির ছলাৎ ছলাৎ শব্দ ছাড়া আর তেমন কোন শব্দ নাই। সব কিছু মিলিয়ে খুবই চমৎকার পরিবেশ, কিন্তু আমরা কেমন যেন ছটফট করতে লাগলাম- এইই দেখতে এসেছি শুধু? এই জঙ্গল, পানি, পাখির ডাক তো দেশে সবখানেই পাওয়া যায়, এটা তো তেমন আহামরি কিছু না। আর যদি বিচার করতেই হয় তাহলে স্বীকার করতে হবে যে, আমাদের রাতারগুলের ধারে কাছে এটা নাই। আমরা একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে লাগলাম এই জঙ্গলের শেষ দেখার জন্য। এর মধ্যেই এক নৌকা থেকে অন্য নৌকায় আমরা একে অন্যকে চিৎকার করে ডাকাডাকি করতে লাগলাম, হাত ডুবিয়ে একে অন্যকে পানি ছিটিয়ে দিতে লাগলাম। এই করতে করতেই আমাদের নৌকা একটা বিচে এসে থামলো।

ঘোলা পানির উপর জঙ্গলের ভিতর দিয়ে আমাদের নৌকাগুলো যাচ্ছিলো
ঘোলা পানির উপর জঙ্গলের ভিতর দিয়ে আমাদের নৌকাগুলো যাচ্ছিলো

আমাদের আগেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিলো যে বিচটা খুবই বিপজ্জনক, আমরা যেন কেউই পানিতে না নামি। গিয়ে দেখলাম সত্যি তাইই। একেবারে ঢালু একটা বিচ সোজা নেমে গেছে নিচের দিকে। আর প্রচন্ড শক্তিতে সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়তে লাগলো বালির উপর। একবার পা হড়কালে আর উঠে আসার সম্ভাবনা নাই। আমরা কক্সবাজার দেখে অভ্যস্ত। কক্সবাজারের মত এত সুন্দর নিরাপদ বিচ দেখতে দেখতে বিপজ্জনক বিচ কেমন হতে পারে তা নিয়ে আমার আইডিয়া ছিলো না। তাই এরকম একটা বিচ দেখে সত্যিই আমরা সবাই সাবধানে দাঁড়ালাম। পানিতে নামার কথা কেউ ভুলেও চিন্তা করছিলাম না।

ওয়েক
ঢালু হয়ে যাওয়া বিচে নীল সমুদ্রের পাশে ‘কালা’ হয়ে যাওয়া কতিপয় দ্বিমিকবাসী (কৃতজ্ঞতায় সাবরিনা মেহজাবিন রাত্র)

খানিক দূর এগিয়ে সবাই ডাব কিনে খেলাম। দাম নেহায়েত কম ন্য। ২৫ রুপি করে রাখলো একেকটা। অল্পবিস্তর হাঁটাহাটি করে ছবিটবি তুলেই আমরা রওয়ানা দিয়ে দিলাম। আবার উঠে বসলাম সেই নৌকাটাতে। নৌকাতে যেতে যেতেই অন্য এক নৌকার দিকে আমাদের চোখ আটকে গেলো। সেই নৌকাটা বাইছে একজন সাদা চামড়ার পর্যটক। সাথে ওনার স্ত্রী বসে ছিলো। মহিলাটা বসা ছিলো হুইল চেয়ারে। লোকটা এবং মহিলাটা দুজনেই আমাদের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়লো। আমরাও পালটা হাত নাড়লাম। কত কষ্ট করে হলেও মানুষ আসে দূর দূরান্ত ঘুরতে। আর তাদের দুইজনে হাসিখুশি চেহারা দেখে মনে হলো, জীবনে সুখী হওয়ার জন্য আসলে মনটাই বড় ব্যাপার, অন্য কিছু নয়।

আচ
সেই পর্যটক আর হুইল চেয়ারে বসা ওনার স্ত্রী (কৃতজ্ঞতায় রফিকুল ইসলাম তুষার)

জঙ্গল পার হয়ে আমরা এসে পড়লাম তীরে। সেখানেই হঠাৎ করে এক লোককে দেখে মনে হলো সৌরভের তামিল ভার্সন। আমরা এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ হাসাহাসি করলাম। এরপর দেখলাম অনেকেই উশখুশ করছে শহরে গিয়ে ‘রয়’ মুভিটা দেখে আসার জন্য। কিন্তু শহর কেমন করে যাওয়া হবে, মুভি দেখে কেমন করে সেখান থেকে ফেরত আসা হবে- এই নিয়ে নানা রকম চিন্তা ভাবনা হচ্ছিলো। আমরা সবাই উঠে বসলাম আমাদের বাসে। ধুমধাড়াক্কা গান ছেড়ে আমাদের বাস চলতে শুরু করলো। আমি জানালা দিয়ে দেখতে লাগলাম দুপাশের দৃশ্য। সাউথের ঘরবাড়িগুলো অনেক বেশি কারুকাজ করা আর রংচঙ্গে- ঠিক যেমনটা সিনেমায় দেখা যায়। মন্দিরগুলোতে অনেক অনেক মুর্তি। আবার মন্দির ছাড়াও অনেক চার্চ দেখলাম। আর যে দিকেই চোখ যায় শুধু নারিকেল গাছ আর নারিকেল গাছ। মনে হয় যেন পথেঘাটে ফ্রি নারিকেল পাওয়া যাবে। মাঝে অনেকেই শহরে নেমে গেলো। বাকিদের নিয়ে বাস আবার চলতে শুরু করলো।

বাস আমাদের নামিয়ে দিলো সেই ঢালের মাথায়। ততক্ষনে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। বাস থেকে নেমে আমি আর রুবাইদা এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করবো বলে ঠিক করলাম। কাছেই একটা শাড়ির দোকান পেয়ে ঢুকে গেলাম আমরা। ছোট দোকান হলেও ওনারা যত্ন নিয়ে শাড়ি দেখালো। দেখলাম যেটাকে আমরা শাড়ি ভেবে ভুল করেছি, সেটা আসলে শাড়ি নয়, সেটার নাম লাঙ্গা। বাচ্চা মেয়েদের জন্য লাঙ্গাগুলো দেখলাম- খুবই সুন্দর। আমরা অনেক্ষন দেখে টেখে বের হয়ে আসলাম। এরপর গেলাম একটা অত্যন্ত দামি দোকানে। দেখে মনে হলো আমাদের আড়ংয়ের মতন। অনেক সুন্দর সুন্দর সব জিনিসের অনেক দাম। আমরা চুপচাপ পুরোটা দেখে বের হয়ে আসলাম। কোথাও শান্তিমত শাড়ি দেখতে পাচ্ছি না। ঠিক করলাম পরেরদিন শহরে যাবো শাড়ির দোকান খুঁজতে। আমরা ঢালের দিকে ফেরত গেলাম। দেখলাম পুরো ঢালের বিশাল এলাকা জুড়েই লাইটিং হচ্ছে আর মাইক লাগানো হচ্ছে। আগামীকাল শিবরাত্রি- তারই জন্য এত আয়োজন। আর বিচের আগে আমাদের হোটেলের সামনেই একটা শিব মন্দির আছে। সেখান থেকেই এসব করা হচ্ছে।

আমরা হোটেলে ফিরে গেলাম। কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে গোসল সেরে আবার বের হয়ে পড়লাম বিচের উদ্দেশ্যে। রাতের বেলায় প্রাণ জুড়ানো ঠান্ডা বাতাসে বসে আমি আর রুবাইদা অনেক্ষন গল্প করলাম। কখনও বসে, কখনও দাঁড়িয়ে, কখনও হেঁটে। বিচের ঝলমলে রেস্টুরেন্ট আর সুভেনিয়র শপে আলোতেও আমরা ঘুরতে লাগলাম এ মাথা থেকে ও মাথায়। অন্ধকার সমুদ্রের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মনে হচ্ছিলো- কি চমৎকারই না এই জীবন!

রাত বেশ গড়িয়ে গেলে আমি আর রুবাইদা উঠে পড়ি। চলে যাই সেই রেস্টুরেন্টে। পেটে তেমন খিদে ছিলো না। তাই অর্ডার দেই এগ নুডুলস। ১০০ রুপির এগ নুডুলসটা ভালোই ছিলো। নুডুলস শেষ করে একটা আইসক্রিমও খেলাম আমি। খেয়ে দেয়ে হোটেলে ফেরত গেলাম আমরা দুইজনে। অল্পক্ষনের মধ্যেই বিছানায় লম্বা হয়ে শুয়ে দিলাম ঘুম।

 

 

2 Replies to “The Mighty INDIA CALLING: ‘ব্যাক ওয়াটার’ অভিযান (পর্ব ৩২)”

  1. অপূর্ব হইছে নুজহাত!! সেইসব দিনের প্রত্যেকটা ঘটনা স্মৃতিপটে জ্বলে উঠলো!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *