৯৭-৯৮ সালের দিকের কথা। মোটামুটি শিওর হয়ে গেছি হুমায়ুন আহমেদের বই আমার জন্য নয়। মনে মনে বেশ হতাশ হই, এই লেখক এক বাজে লিখেন কেন? যে মানুষ এত ভালো নাটক বানাতে পারে, তাঁর লিখা কেন বোরিং?
নাটকের কথা বললেই সবার আগে মনে পড়ে ‘আজ রবিবার’ এর কথা। কি চরম একটা নাটকই না ছিল সেটা! বড়চাচা, আনিস, দাদাজান, ছোটচাচা, মতি, তিতলি, কংকাদের আমি আজও ভুলতে পারি নাই। একটা পরিবারে যে কত অদ্ভূত সব ঘটনা ঘটতে পারে… কত রকমের যে সমস্যা……… কত বিচিত্র পরিস্থিতি……… সব মিলিয়ে অসাধারণ। তারপর আরও ছিলো ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘সবুজ ছায়া’, ‘সবুজ সাথী’। একটা পর্বও মিস করতাম না। বাসায় আম্মুর নিয়ম ছিলো পরীক্ষা চলাকালীন সময় কোন টিভি ছাড়া যাবে না। ব্যাতিক্রম ছিলো শুধু হুমায়ুন আহমেদের নাটক। আর বাসায় বড়দের কাছে শুনতাম ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’ আর ‘কোথাও কেউ নেই’ এর কথা। বাকের ভাই, বদি আর মজনুর তিন তিনটা পোস্টকার্ড এখনও আছে আমার কাছে। আর ঈদের সময় তো কথাই নেই। রাত ৮টা-সাড়ে ৮টা বাজলেই সারা বাড়ির লোকজন নিঃশব্দে টিভিসেটের সামনে এসে হাজির হতো। মনে আছে একবার ঈদের দিন এক মামার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। ফিরতে ফিরতে দেরি হয়ে গিয়েছিলো। ওদিকে আবার নাটক শুরু হয়ে যাচ্ছে, সব দিক চিন্তা করে অন্ধকার রাস্তায় আমি আর ভাই দিলাম দৌড়। পরে হাঁপাতে হাঁপাতে বসলাম টিভিসেটের সামনে।
২০০৩-০৪ সালের দিকে আবারো চেষ্টা করলাম, যদি তাঁর লেখা ভালো লাগে? আবার সেই একই সমস্যা, বোরিং। হিমু, মিসির আলী কাউকেই পছন্দ করতে পারলাম না। এবার ডিসিশন ফাইনাল, হুমায়ুন আহমেদের বই আমার জন্য নয়।
মাঝে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম মধুমিতায়। সিনেমার নাম ‘দুই দুয়ারী’। চমৎকার ছবি, চমৎকার গান… বিশেষ করে ‘বরষার প্রথম দিনে/ ঘনকালো মেঘ দেখে/ আনন্দে কাঁপে যদি তোমার হৃদয়’ । দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আবার আফসোস, যে মানুষ এত ভালো সিনেমা বানাতে পারে, তাঁর লিখা কেন বোরিং?
বিভিন্ন কারনে প্রায়ই পত্রিকার হেড লাইন হন তিনি। আফসোস হতো, হায়! এরকমটা কি না হলে হত না?
পত্রিকা মারফত জানতে পারি, অসুস্থ হলেন- অস্ত্রোপোচার হলো- সুস্থ হলেন- দেশে আসলেন- আবার চলেও গেলেন। হঠাৎ শুনি তিনি নেই।
তিনি কখনই আমার প্রিয় লেখক ছিলেন না। আমি কখনোই তাঁর বই কিনে পড়ি নাই। কিন্তু তারপরও কেমন একটু কষ্ট লাগলো। কেমন ফাঁকা, শূন্য লাগলো। কি আশ্চর্য! তিনি সত্যিই চলে গেলেন!
উনি আমারো খুব প্রিয় লেখক ছিলেন না, কিন্তু উনার ‘মিসির আলী’র প্রতি আমি প্রবল আকর্ষণ অনুভব করি। আরেকটা কারণে উনি আমার স্মৃতিতে থাকবেন আজীবন- আমার পড়া সবচে’ সেরা মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস, আমার সবচে’ প্রিয় বই ‘জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প’র জন্য
‘জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প’ আমিও পড়ি নাই। এটার অনেক প্রশংসা শুনেছি। দেখি, পড়ে দেখতে হবে।
His “Himu” and “Misir Ali” series are my all time favorite book. Not a great fan of his TV serial. Truly we lost a legend of the Bengali literature.
তার “আপনারে আমি খুঁজিয়া ফিরি” পড়ে দেখতে পারেন।
আমি বইটা পড়িনি তবে কিছু উদ্ধৃতি পড়েছি।
আজব অনেক কিছু জানার আছে।
Humayun Ahmed is one of my favourite writers (not for all the but for some special ones). One could so easily make out a story from a simple, right from nowhere instances and his simple magical description truly trails the readers with flow. With his writings,drama,movies he became like a family person. I can still feel the immense grief I was clinched into after hearing his death news.
You can read ‘বাদশাহ নামদার’ one of his best. I think this time writer would not dissapoint you.