পল্লীবর্ষা!

অনেকদিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে। অামার বর্ষার প্রিয় কবিতা ‘পল্লীবর্ষা’র বেশির ভাগ অংশই মনে করতে পারছিলাম না। খুব অাফসোস হচ্ছিলো মনে মনে। অাজকে হঠাৎ নেটে খুঁজে পেলাম কবিতাটা। খুব ভালো লাগলো পড়ে। যারা অামার মতন স্কুলের পরও পল্লীবর্ষাকে ভালোবাসে তাদের জন্য কবিতাটা নিচে দিয়ে দিলাম।

                         পল্লীবর্ষা

আজিকার রোদ ঘুমায়ে পড়িছে ঘোলাটে মেঘের আড়ে
কেয়া-বন-পথে স্বপন বুনিছে ছল ছল জলধারে।
কাহার ঝিয়ারি কদম্ব-শাখে নিঝ্‌ঝুম নিরালায়,
ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে অস্ফুট কলিকায়!
বাদলের জলে নাহিয়া সে-মেয়ে হেসে কুটি কুটি হয়,
সে হাসি তাহার অধর নিঙাড়ি লুটাইছে বনময়।
কাননের পথে লহর খেলিছে অবরাম জলধারা,
তারি স্রোতে আজি শুকনো পাতারা ছুটিয়াছে ঘরছাড়া।
হিজলের বন ফুলের আখরে লিখিয়া রঙিন চিঠি,
নিরালা বাদলে ভাসায়ে দিয়েছে না জানি সে কোনো দিঠি!
চিঠির ওপরে চিঠি ভেসে যায় জনহীন বন-বাটে,
না জানি তাহারা ভিড়িবে যাইয়া কার কেয়া-বন-ঘাটে!
কোন সে বিরল বুনো ঝাউ-শাখে বুনিয়া গুলাবি শাড়ি-
হয়তো আজিও চেয়ে আছে পথে কানন-কুমার তারি!
এদিকে দিগন্তে যতদূর চাহি, পাংশু মেঘের জাল,
পায়ে জড়াইয়া পথে দাঁড়ায়েছে আজিকার মহাকাল।

গাঁয়ের চাষিরা মিলিয়াছে আসি মোড়লের দলিজায়,
গল্পে গানে কি জাগাইতে চাহে আজিকার দিনটায়!
কেউ বসে বসে বাখারি চাঁচিছে, কেউ পাকাইছে রশি
কেউবা নতুন দোয়াড়ির গায়ে চাকা বাঁধে কসি কসি।
কেউ তুলিতেছে বাঁশের লাঠিতে সুন্দর করে ফুল,
কেউবা গড়িছে সারিন্দা এক কেটে নির্ভুল।
মাঝখানে বসে গাঁয়ের বৃদ্ধ, করুণ ভাটির সুরে
আমির সাধুর কাহিনী কহিছে সারাটি দলিজা জুড়ে।
লাঠির ওপরে, ফুলের ওপরে আঁকা হইতেছে ফুল,
কঠিন কাঠ সে সারিন্দা হয়ে বাজিতেছে নির্ভুল।
তারি সাথে সাথে গল্প চলেছে, আমির সাধুর নাও
বহু দেশ ঘুরে আজিকে আবার ফিরিয়াছে নিজ গাঁও।
ডাব্বা হুঁকাও চলিয়াছে ছুটি এর হাতে ওর হাতে,
নানান রকম রশি বুনানও হইতেছে তার সাথে।

বাহিরে নাচিছে ঝর ঝর জল, গুরু গুরু মেঘ ডাকে,
এ সবের মাঝে রূপকথা যেন আর রূপকথা আঁকে।
যেন ও বৃদ্ধ, গাঁয়ের চাষিরা, আর ওই রূপকথা,
বাদলের সাথে মিশিয়া গড়িছে আরেক কল্পলতা।
বউদের আজ কোনো কাজ নাই, বেড়ায় বাঁধিয়া রশি,
সমুদ্রকলি শিকা বানাইয়া নীরবে দেখিছে বসি।
কেউবা রঙিন কাঁথায় মেলিয়া বুকের স্বপনখানি,
তারে ভাষা দেয় দীঘল সূতার মায়াবী আখর টানি।
আজিকে বাহিরে শুধু ক্রন্দন ছলছল জলধারে,
বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে

ফিরে এসেছে রমজান !

ক্লাশ এইটে থাকতে একটা প্যারাগ্রাফ পড়েছিলাম, ‘Summer is back in the wind’। ক্যালেন্ডারের দিকে না  তাকিয়ে কিভাবে বোঝা যায় যে প্রকৃতিতে গ্রীষ্মকাল শুরু হচ্ছে সেইটা নানা কসরত করে ইংরেজী সাহিত্যে প্রকাশ করতে হত। সেই প্যারাগ্রাফের মত আজ বলতে ইচ্ছে করছে ‘Holy Ramadan is back in the wind’। আমাদের জীবনে এক বছর পরে আবারও রমজান মাস ফিরে এসেছে, ক্যালেন্ডারের সাহায্য ছাড়াই সহজে ব্যপারটা টের পাওয়া যায়।

রাস্তার মোড়ে মোড়ে যখন ছোট টেবিলে পলিথিনের ঠোঙ্গায় যখন মুড়ি বিক্রি করতে দেখা যায় তখনই বুঝতে হয় রমজান এসে গেছে। রমজান মাসে খাবারের দোকানগুলো সেজে ওঠে বাহারি সাজে। দোকানের সীমানা ছাড়িয়ে সামনের ফুটপাথে রঙ বেরংয়ের ব্যানার টানিয়ে লিখা হয় ‘………শাহী ইফতারের বিশাল আয়োজন’। অনেকে আবার কম্পিটিশনে নেমে যায় ১০০ পদ ও ১৫০ পদের ইফতারি তৈরি করতে। পুরানো ঢাকার অবস্থা তো আরও রমরমা। কম বেশি প্রতিদিন পত্রিকায় একটা করে ছবি আসে সাদা সাদা টুপি পড়া হাজারও কালো কালো মাথা গিজগিজ করছে ছোট্ট একটা জায়গাকে কেন্দ্র করে। নিচের ক্যাপশন দেখে বুঝে নিতে হয় এটা পুরানো ঢাকার ইফতারের দোকানের ছবি।

শুধু কি খাবারের দোকান? ফলের দোকানেও চলে বাহারি আয়োজন। দোকানের ফল দোকানের সীমানা ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে এমন আকর্ষণীয় ভাবে যে চলতে ফিরতে একবার না একবার ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখতেই হবে। অনেকে আবার ফলের গিফট বক্স তৈরি করেন। এটা তেমন কিছুই না, একটা বাঁশের ঝুড়িতে নানা পদের ফল আর রুহ আফজা সাজিয়ে সেলোফেন পেপার দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। কোন বাসায় ইফতার পার্টিতে যাওয়ার সময় অনেকেই ফলের দোকান থেকে এরকম গিফট বক্স কিনে নেন। আর অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে রোজায় ফলের বেচা বিক্রি হয় দ্বিগুন। তাই ফলওয়ালাদের দন্ত বিকশিত হাসি দেখেই বোঝা যায় রমজান এসেছে।

রোজায় মার্কেটগুলো সাজানো হয় রঙ্গিন কাপড় দিয়ে। রোজা শুরুর সাথে সাথে সকল জিনিসের ট্যাগে পুরানো দাম মুছে ১০ থেকে ২০০০ টাকা বাড়িয়ে লিখা হয়। এরপরও মানুষের কেনাকাটায় কোন থামাথামি নাই। ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় সামলাতে সামলাতে বিক্রেতাদের দম ফেলার সুযোগ থাকে না। আর গাউসিয়া, নিউ মার্কেট, চাঁদনী চক এলাকার তো কথাই নেই। ওইসব মার্কেটে যাওয়া তো দূরের কথা, ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কথা শুনলেই অনেকের মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে।

রোজার সময় আজকাল স্কুল কলেজ সব সরকারী নির্দেশেই বন্ধ থাকে। এটা অবশ্যই ভালো দিক। তবে পত্রিকায় দুজন প্রভাষককে দেখলাম রোজার ছুটির চরম বিরোধিতা করে চিঠি পাঠিয়েছে। তাদের মতে বাচ্চাদের পড়াশুনার ক্ষতিবন্ধ করার জন্য অবিলম্বে রোজার ছুটি বাতিল করা উচিত। আমি দুবছর আগে স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলাম। আমার দশ বছর স্কুল জীবন এবং দেড় বছর কলেজ জীবনে কখনই মনে হয় নাই যে স্কুল বন্ধ হওয়ার কারণে পড়াশুনার বিন্দুমাত্র ক্ষতিহয়েছে। এবং আমার বিশ্বাস যদি দুই বছরে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যাবস্থায় আমূলপরিবর্তন না হয়ে থাকে তবে এখনকার সকল শিক্ষার্থী আমার সাথে এই বিষয়ে একমত হবে। আর মুসলিম দেশে যদি ক্ষুদে রোজাদারদের যদি রোজা রেখে স্কুলে দৌড়াতে হয় তবে এরচাইতে বড় লজ্জা বোধহয় আর কিছুতেই হবে না।

এ তো গেলো শুধু বাইরের কথা। এবার আসি ঘরের কথায়। দুপুর হলেই মায়েদের রান্নাঘরের কাজ শুরু হয়ে যায়। আর বিকেল হলে তো পিঁয়াজু, বেগুনি, সবজি বড়া ভাজার গন্ধে পেটে খিদে গুরগুরিয়ে ওঠে। ইফতারের সময় যত ঘনিয়ে আসে, শুরু হয় ঘরের সবার ব্যস্ততা। ইফতারের টেবিল সাজানোর কাজটা ঘরের সব সদস্যরা মিলেই করে। কেউ শসা কাটে, কেঊ ফল কাটে, কেউ শরবত বানায়, কেউ খেজুর পরিষ্কার করে এভাবে হাতে হাতে কাজ করতে করতেই আযান পড়ে যায়।

রমযানের অন্যতম শিক্ষা সংযম। আর সংযমের সবচাইতে বড় বাধা টেলিভিশন। তাই রোজায় ঘরে ঘরে টেলিভিশন দেখার হার কমে যায়। কমে যায় হাই ভলিউমে গান ছাড়ার প্রবনতা। হিপহপ গানের বদলে অনেক জায়গা থেকে ভেসে আসে কুরআন তেলওয়াত। ঘরে ঘরে কুরআন তেলোয়াতের হারও বেড়ে যায়। অনেকেই চায় সাতাশ রোজা অর্থাৎ শবে কদরের আগে কুরআন খতম করতে। ছেলেরা জামাআতে তারাবীহ পড়ার সময়ই এক খতম করে এক ঢিলে দুই পাখি মেরে ফেলে। আবার ঘরে বসেও অনেকে আরেক খতম দেয়।

রমজান মাস রহমতের মাস, বরকতের মাস, সংযমের মাস। সারা বছরের সকল পাপের জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাওয়ার সর্বোত্তম সময় এই রমজান মাস। যে রমজান মাস পেয়েও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলো না তার চেয়ে দুর্ভাগ্যবান বোধহয় আর কেউ নেই। আমাদের জীবনে আরও একটি রমজান মাস এসেছে। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সামর্থ দান করুন যাতে আমরা সঠিকভাবে মাসটিকে কাজে লাগাতে পারি এই প্রার্থনা হোক সকল মুসলমানের।

 

Google+: Want an Invitation?

I have just opened my account in Google+. And I am very much satisfied seeing the new facilities, options and the getup of this new amazing social network.

If you want an invitation, you have to write the e-mail address of your Gmail account in the comment box below. I can help you to get involved to a new kind of social network.

Me and My TIN GOYENDA

When I was a very little kid, I always noticed my brother as a regular reader of some small sized book. Afterward I learned that those books are called ‘Tin Goyenda’ (that means three detectives) though I did not know that what it really was. One day I told my papa that I need a ‘Tin Goyenda’ too when I was about to learn how to read. He told me that the book would be too hard for me to read but I did not pay any heed to his words. Then he tried to test me and gave me a line “National Curriculum and Text Board” in bangla to read which was situated behind one of the text books of my brother. Surely it was very hard for a kid who had just learntreading, to read that line in bangla. But I passed that test and my papa being very happy, bought me a book of ‘Tin Goyenda’ named Noroke Hajir (present in hell). That was my first book of that series. But seeing the cover where a running cowboy was shooting to someone in the middle of a desert, I failed the courage to read that book.

When I was a student of class one, I took a book from my brother’s school bag, which perhaps he borrowed form his friend, named Mayajal (magical bond). That story was about a mentally disordered girl and it opened a new horizon to a little class one student. From then, I started to read ‘Tin Goyenda’ regularly and came to a decision that my first book was not that thrilling at all. The more I read, the more I became the fan of ‘Tin Goyenda’.
The series is about three teen detectives. Kishore Pasha, a bengali teenager who lives with his uncle in Rocky Beach at LA, is the leader. Robin Milford, an Irish-American bookworm, is the file analyzer. Musa Aman, an American Niger, is the assistant. These three boys has a team named ‘Tin Goyenda’. Their office is in a old trailer under the junk of Pasha Salvage Yard. Their adventures were awesome and much thrilling. There are some other characters such as Jina, Tom, Bid, Yan Fletchur, Omor, Niki Punch, Victor Symon, Nisan Jung Kim, Devis Chirstofer, Hanson and so on who often join to their adventures.

বৃত্তিপ্রাপ্ত ভিকিদের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় সাবধান বাণী!

” অপেক্ষা মানুষকে দার্শনিক করে তোলে ”– মাত্র দুইটা সাইনওয়ালা ফর্ম ফিলাপ করার জন্য পাঁচ ঘন্টা অপেক্ষা করতে করতে আমার বন্ধু সুমাইয়া মন্তব্যটি করে। আমি নিজে একজন ভিকি। তাই সব বৃত্তিপ্রাপ্ত ভিকিদের সাবধান করে দিতে চাচ্ছি, প্রত্যয়ন পত্র তুলতে চাইলে এক্ষুনি সারাদিনের প্রস্তুতি নিতে থাকো।

বুয়েটে আজ গিয়েছিলাম বৃত্তি বিষয়ক খবর নিতে। জানতে পারলাম নিজ নিজ কলেজ থেকে বিশেষ প্রত্যয়ন পত্র এনে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার শেষদিন ছিলো গতকাল, তাই আমি ভয়ে আর বেশি কিছু জানতে চাইনি। প্রত্যেক ভিকি মাত্রই জানে আমাদের অফিসে কি আজব এক চিড়িয়া বাস করে। সব সার্টিফিকেট তোলা হয়ে গেলে মনে মনে আনন্দ ধ্বনি করেছিলাম ‘ হুররে, আমাকে আর এই লোকটার সামনে আসতে হবে না’। কিন্তু ঘুরে ফিরে আবার আমাকে ওই লোকটার সামনেই দাঁড়াতে হলো। এবং তাঁর অসম্ভব বকাঝকা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য সহ্য করে দুইটা সাইন যোগাড় করতে আমার সকাল এগারটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত সময় লেগেছে। আমার সাথে মোট ছয় জন ছিলো, কিন্তু মাঝপথে একজন রণে ভংগ দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত আমরা পাঁচজন পাঁচ ঘন্টা অপেক্ষা করে অবশেষে  মহামূল্যবাণ মিলিয়ন ডলারের প্রত্যয়ন পত্র নিতে সক্ষম হই।

তাই সকল বৃত্তিপ্রাপ্তদের বলছি, প্রত্যয়ন পত্র তুলতে এখনই মাঠে নেমে পড়। আর বিশেষ করে ভিকিরা, তোমরা চাইলে পিকনিক পিকনিক মুড নিয়ে সারাদিনের জন্য খাবার দাবার আর বিছানা বালিশ নিয়ে যেতে পারো।