জনৈক রসিকের ইমেইল রঙ্গ

”হাই, আমি জিম। আমার একজন অনুবাদক দরকার যে আমাকে জাপানি থেকে ইংলিশে অনুবাদ করে দিতে পারবে।
তাড়াতাড়ি প্রয়োজন।
খুব জরুরি।”

ইন্টারনেটে এরকম একটা অ্যাড দেখে রবিন রিপ্লাই পাঠালো,
”হাই জিম,
আমি চ্যান। আমি একজন জাপানি। তোমাকে জাপানি থেকে ইংলিশে অনুবাদের ব্যাপারে আমি সাহায্য করতে পারবো।”

”ধন্যবাদ চ্যান।
আসলে আমি একটা সিডি প্লেয়ার কিনেছি। এটাতে কোন সাউন্ড পাচ্ছি না। ম্যানুয়েল পুরোটাই জাপানি ভাষায় লিখা। আমি তোমাকে কয়েকটা পেজ স্ক্যান করে পাঠাচ্ছি। তুমি আমাকে কি বলতে পারো এখানে কি করতে হবে কিছু বলা আছে কিনা?”

ছবিটা দেখে রবিন একটা হাসি দিলো,
”হ্যাঁ, তিনটা জিনিস দরকারি মনে হলো
১। ফেইলিওর অফ সাউন্ড ফ্রম ডিভাইস
 ২। স্কিপিং অফ ডিস্ক ফর পুওর সাউন্ড
 ৩। সাউন্ড ভলিউম লো ভেরি মাচ”

”হুম, প্রথমটার ব্যাপারে  কি করতে হবে বলা আছে?”

”কি বলা আছে আমি বলছি,
হ্যাল্লো, গ্লোরিয়াস সিডি প্লেয়ার ব্যাবহারের জন্য ধন্যবাদ। যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য দুঃখিত। ত্রুটি ঠিক করার জন্য নিচের নির্দেশ অনুসরন করুন
 ১। সিডি প্লেয়ারের প্লাগটি খুলে ফেলুন
 ২। সিডি প্লেয়ারের প্লাগটি পুনরায় লাগান
দ্যাখো তোমার কোন সাহায্য হয় নাকি।”

”নাহ, লাভ হয় নাই। আর কিছু কি বলেছে?”

”ওহ, সরি। আরও কয়েকটা নির্দেশনা আছে,
যদি এখনও গ্লোরিয়াস সিডি প্লেয়ার সম্পূর্ন ঠিক না হয়ে থাকে তাহলে আপনার গ্লোরিয়াস সিডি প্লেয়ারটিতে অডিও ভূত ভর করেছে। গ্লোরিয়াস সিডি প্লেয়ারটি ভূতের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য নিচের নির্দেশনা অনুসরন করুন
 ১। সাতটি মোমবাতি জ্বালান
 ২।সুরের দেবী বেঞ্জাইতেন এর কাছে প্রার্থনা করুন
 ৩।মহান দেবী বেঞ্জাইতেন ভূতের কবল থেকে সিডি প্লেয়ারটিকে মুক্ত করে দিবেন
 ৪।পুনরায় সিডি প্লেয়ারটি চালু করুন
যদি আপনার সিডি প্লেয়ারটি এরপরও ভূতের কবল থেকে মুক্ত না হয় তাহলে আপনার দুর্ভাগ্য। আপনার পুরো পরিবারের জন্য দুর্ভাগ্য এবং অভিশাপ। শীঘ্রই মহান সেপ্পুকু আপনাকে মৃত্যুদন্ড দিবেন।
আশা করি তুমি ভূত তাড়াতে সক্ষম হবে। গুড লাক।”

”কি!! সত্যিই কি এটা লিখাছিলো???????”

”আমি শুধু তোমাকে অনুবাদ করে দিলাম।”

”কখনই এরকম থাকতে পারে না। কি একটা ফালতু ম্যানুয়েল এটা! কিভাবে এটা মানুষকে সাহায্য করবে?”

”আমি দুঃখিত। শুনেছি আজকাল সিডিপ্লেয়ারের ভূতেরা খুব জ্বালাচ্ছে। আমার কাছে একটা তলোয়ার আছে। খুব ধারালো। মহান সেপ্পুকুর সাথে ফাইট দিতে তোমাকে সাহায্য করবে। তুমি কি নিতে চাও?”

”তুমি কি পাগল!! না ছাগল!!! এইসব গাঁজাখুরি কেউ বিশ্বাস করে?”

কয়েকদিন পর জিম রবিনকে মেইলে আরও একটা ছবি পাঠায়,
”আমি বোধহয় ভুল পেজের ছবি পাঠিয়েছিলাম। এটা মনে হচ্ছে সূচীপত্র। তুমি কি বলতে পারো ট্রাবলশুটিং কত নম্বর পেজে আছে? তাহলে আমি সেটার ছবি তোমাকে পাঠিয়ে দিবো।”

রবিন আরও চওড়া একটা হাসি দেয়,
”এটা সূচীপত্র নয়। এটা সুশি রান্নার রেসিপি। ১৬ নম্বরটা স্যামন মাছের সুশি, খেতে খুবই মজা। রান্না করে দেখতে পারো।”

”বুঝেছি, আমাকে ঘোল খাওয়ানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ **, আহাম্মক,**।”

পরেরদিন রবিন আরেকটা ইমেইল অ্যাড্রেস থেকে জিমকে ইমেইল পাঠালো,
”হাই, আমি স্যাম। আমার মনে হয় আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারবো। কলেজে থাকতে আমার জাপানি ভাষার কোর্স ছিলো, আমি জাপানি বলতেও পারি। দু বছর জাপানেও ছিলাম।”

জিম তাকে রিপ্লাই পাঠালো,
”অনেক ধন্যবাদ। আমি আসলে এক গবেটের কাছে সাহায্য চেয়ে চেয়ে এতদিন সময় নষ্ট করেছি। যাইহোক, আমার সিডি প্লেয়ার কাজ করছে না আর ম্যানুয়েলটা জাপানি ভাষায় লিখা। তোমাকে সূচীপত্রের ছবি পাঠালাম। আমাকে আপাতত বলো ট্রাবলশুটিং অংশটা কত নম্বর পেজে আছে?”

”তুমি তো আমাকে সুশি রান্নার রেসিপি পাঠিয়েছো। তুমি কি শিওর এটাই তোমার ম্যানুয়েল?'”

”কি আশ্চর্য! এটার আগের পেজে একটা সিডি প্লেয়ারের ছবি আছে। তার পরের পেজে কেন একটা সুশি রেসিপি থাকবে?”

”জাপানি ম্যানুয়েলগুলোতে মাঝে মাঝে অ্যাড থাকে। এটা মনে হয় সেরকমই। নিচে আবার লিখা আছে- গ্লোরিয়াস সিডি প্লেয়ার ব্যাবহারের জন্য ধন্যবাদ, সঙ্গীত উপভোগ করতে করতে কয়েকটা সুশি হয়ে যাক না কেন?

”পাগল নাকি??? আচ্ছা যাই হোক আমি আরেকটা ছবি পাঠাচ্ছি। আমার মনে হয় এখানে ট্রাবলশুটিঙ্গের ব্যাপারে কিছু লিখা আছে। দেখো তো সাউন্ড না থাকলে কি করতে হবে কিছু বলা আছে কিনা?”

”হ্যাঁ হ্যাঁ। বলা আছে একবার প্লাগ খুলে আরেকবার লাগাতে।”

”আমি ওটা করেছি। আর কিছু লিখা নেই?”

”আছে, তবে…আচ্ছা বলছি। লিখা আছে যে তোমার সিডি প্লেয়ারটাতে আমানাজাকু  বা ভূতের আসর হয়েছে। তিনটা মোমবাতি জ্বালিয়ে সুরের দেবী বেঞ্জাইতেন এর কাছে প্রার্থনা করতে।”

কয়েকদিন পর রবিন জিমকে লিখলো,
”জিম, তুমি কি ভূত তাড়াতে পেরেছো?”

জিম এরপর আর কোন উত্তর দেয় নাই।

আমার অসাধারণ আম্মু

 

আম্মু, আজকে রাতে তুমি আমার সাথে ঘুমাবে? ”

 

তোর সাথে শুতে হবে ?”

 

শোও না, প্লিইইজআমি আনুনয় করে বলি।

ব্যাপারটা এমন নয় যে আমি রাতে একা ঘুমাতে পারি না। আমি সেই ক্লাস ফোর থেকেই একা ঘুমাই। তারপরও কয়েকদিন পর পর কেমন যেন লাগে। তাই মাঝেমাঝেই আম্মুকে আমার সাথে ঘুমাতে আসতে হয়। দুইজনে মিলে ফিসফিস করে রাজ্যের গল্প করি। তারপর একসময় আম্মুর শাড়ি ঘেঁষে ঘুমিয়ে পড়ি। আহ, কি শান্তি!

 

 পরীক্ষার সময় তো কথাই নেই। রাতের ভাতটা অবশ্যই আম্মুর হাতে খেতে হবে। কেন যে আম্মুর হাতে ভাত খেলে ভাতের স্বাদ বহুগুন বেড়ে যায় সেটা আমি বলতে পারবো না। আর সকালে আম্মুর কাছ থেকে দোয়া নিতেই হবে। যত যাই হোক, সেদিন আমার জন্য আম্মুকে স্পেশাল দোয়া করতেই হবে।

 

 অন্য কারো হাতে আমি মাথায় তেল দেই না। এই একটা কাজ আম্মুকে করতেই হবে। আমি চেয়ারে বসে থাকবো আর আম্মু মাথায় বিলি কেটে কেটে তেল দিয়ে দিবে। আরামে আমার ঘুম চলে আসবে।

 

 দুপুরে কি খেয়েছিস?”

 

কি আর খাবো? ঐ মোটা চালের ভাত আর মুরগি মাংস।আমি মুখ ভেংচিয়ে উত্তর দেই।

 

পরদিন থেকে আমার জন্য লাঞ্চ বক্স রেডি হয়। ভিতরে থাকে ভাজি, মাংস আর ডাল। কি মজা আম্মুর সেই রান্না!

 

 ভার্সিটি থেকে ফিরে আম্মুর সাথে বকবক করতে থাকি।জানো আম্মু আজকে না কি হয়েছে………… আম্মু সামনের

 

শনিবার না আমাদের সেমিনার আছে…………উফফ আজকে যা জঘন্য প্রোজেক্ট দিয়েছে না……… আমার আমলা আপু কি বলেছে জানো………… আজকে না আমাদের নতুন ব্যাচ এসেছে………………………” । আমি বলতেই থাকিবলতেই থাকি। স্কুল, কলেজ সবখানেই একই অবস্থা ছিলো আমার। গাড়িতে উঠেই বকবক করতে থাকতাম, অনর্গল।

 

 

বিশ্ব মা দিবস কবে তা আমি ঠিক করে বলতে পারবো না। আম্মুও হয়তো জানে না। কারণ আম্মুর অত সময় নেই। ছেলেমেয়েদের জন্য রান্না করা, মুখে তুলে খাইয়ে দেওয়া, মাথায় তেল দিয়ে দেওয়া, সারাদিনের ঘটনার সারমর্ম শোনা এসব করতে করতে হাতে সময় থাকে কখন? আর সংসারের কাজের কথা তো বাদই দিলাম। আমার সাবেক শিক্ষিকা মা আমার সবচেয়ে বড় সঙ্গী। আমি আম্মুকে ভালোবাসি। এই ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য কোন মা দিবস লাগে না। ছোট্ট এই আমি আম্মুকে কতটা ভালোবাসি তা আমার প্রতিদিনের এসব ছেলেমানুষি কার্যকলাপের মধ্যেই প্রকাশ পায়। আর আমার প্রতি আম্মুর ভালোবাসার কথা তো বললামই না…………………

 

 

 


One Month Have Passed

I started my classes in BUET on 26 February. That means I have already spent a month there in the dream of being an architect.

Previously I have told that I had no interest in architecture. Even I have never dreamt of reading  architecture before. All I wanted to be an engineer. But life is not a bed of roses and I have realized it very well after the admission tests in different universities.

Now my aim has changed. I started a new type of life in BUET specially in architecture. It is just a dream like place where everyone is not the member of this materialistic earth. They live in a fantasy world more than in reality. Our teachers are very amazing although they really do not behave like ‘Teacher’.

I have now 55 new friends in my class. Most of them are ‘new’ and a few of them are familiar to me as we belonged to same school and college. But here we have discovered something new among our friendship as we discuss , work together or chat in most of the time.

Within one month, I have visited Karjon Hall( I have never visited it so closely), Sohrawardi Park, Lalbag Fort, Ahsan Manzil with my friends and I have enjoyed most of the journeys. It is very interesting to roam around with 55 students or in a small groups. People everywhere help us and give us a special concentration as we are from BUET. I really enjoy this.

The name of our batch is selected as DIMIK which means ‘binary’. We have selected it as we are ’10 batch. Let’s see what will happen in DIMIK in future.