বৃত্তিপ্রাপ্ত ভিকিদের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় সাবধান বাণী!

” অপেক্ষা মানুষকে দার্শনিক করে তোলে ”– মাত্র দুইটা সাইনওয়ালা ফর্ম ফিলাপ করার জন্য পাঁচ ঘন্টা অপেক্ষা করতে করতে আমার বন্ধু সুমাইয়া মন্তব্যটি করে। আমি নিজে একজন ভিকি। তাই সব বৃত্তিপ্রাপ্ত ভিকিদের সাবধান করে দিতে চাচ্ছি, প্রত্যয়ন পত্র তুলতে চাইলে এক্ষুনি সারাদিনের প্রস্তুতি নিতে থাকো।

বুয়েটে আজ গিয়েছিলাম বৃত্তি বিষয়ক খবর নিতে। জানতে পারলাম নিজ নিজ কলেজ থেকে বিশেষ প্রত্যয়ন পত্র এনে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার শেষদিন ছিলো গতকাল, তাই আমি ভয়ে আর বেশি কিছু জানতে চাইনি। প্রত্যেক ভিকি মাত্রই জানে আমাদের অফিসে কি আজব এক চিড়িয়া বাস করে। সব সার্টিফিকেট তোলা হয়ে গেলে মনে মনে আনন্দ ধ্বনি করেছিলাম ‘ হুররে, আমাকে আর এই লোকটার সামনে আসতে হবে না’। কিন্তু ঘুরে ফিরে আবার আমাকে ওই লোকটার সামনেই দাঁড়াতে হলো। এবং তাঁর অসম্ভব বকাঝকা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য সহ্য করে দুইটা সাইন যোগাড় করতে আমার সকাল এগারটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত সময় লেগেছে। আমার সাথে মোট ছয় জন ছিলো, কিন্তু মাঝপথে একজন রণে ভংগ দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত আমরা পাঁচজন পাঁচ ঘন্টা অপেক্ষা করে অবশেষে  মহামূল্যবাণ মিলিয়ন ডলারের প্রত্যয়ন পত্র নিতে সক্ষম হই।

তাই সকল বৃত্তিপ্রাপ্তদের বলছি, প্রত্যয়ন পত্র তুলতে এখনই মাঠে নেমে পড়। আর বিশেষ করে ভিকিরা, তোমরা চাইলে পিকনিক পিকনিক মুড নিয়ে সারাদিনের জন্য খাবার দাবার আর বিছানা বালিশ নিয়ে যেতে পারো।

লাইফে আর কি (Archi)!

মানুষের কল্পনারও পরিধি থাকে, আমারও ছিলো। কিন্তু বাস্তবতা আমার কল্পনাকেও হার মানিয়েছে। কল্পনায় অনেক কিছুই দেখতাম, বড় হয়ে এই হবো, সেই হবো । কিন্তু কোনদিন ভুলেও ভাবিনি আর্কিটেক্ট হবো। নিয়তির কি অদ্ভুত খেয়াল, আমার ঠিকানা এখন স্থাপত্যে। তো যাই হোক, ভর্তি পরীক্ষার পর থেকে ক্লাশ শুরু হবার আগ পর্যন্ত কি কি ঘটেছে সেই কথা আর নাই বললাম, লেভেল ১ টার্ম ১ শেষ করে তিন মাস পিছনে ফিরে দেখতে ইচ্ছা করছে কেমন কাটলো আমার প্রথম আর্কি লাইফ।

ফেব্রুয়ারী মাসে প্রথম যেদিন ক্লাশ করতে আসলাম, সবার আগে দেখা হলো আমার মতই ইতস্তত ভঙ্গিতে দাঁড়ানো সারার সাথে। একটু সামনে এগিয়ে আমার স্কুল কলেজের কিছু পুরানো মানুষজন খুঁজে পেলাম। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে ক্লাশে ঢুকলাম। ক্লাশ নিতে যিনি আসলেন তাঁকে দেখে আর যাই মনে হোক টিচার মনে হয় নাই। ক্লাশ শেষ হওয়ার পর টপাটপ দুজন সিনিয়র ভাইয়া ঢুকে গম্ভীর গলায় বললেন, “ক্লাশ শেষে প্রত্যেককে যেন ডিজাইন স্টুডিওতে পাই। দুজনের মধ্যে একজনকে আমি চিনতে পারলাম, টিভিতে নাটক করে। সামান্য ভয় লাগলো আসন্ন র‍্যাগএর কথা চিন্তা করে।

ডিজাইন ক্লাশ শেষে আমরা বিরিয়ানি আর কোক পেলাম। কিন্তু খাওয়ার আগেই সিনিয়ররা এসে পড়লো। তক্ষুণি টের পেলাম র‍্যাগকি জিনিস! যাই হোক, অনেক ঝামেলার শেষে ক্লাশ ও ওরিয়েন্টেশন শেষ করে যখন বাসায় ফিরলাম, তখন শরীরে আর কোন শক্তি অবশিষ্ট নেই। দীর্ঘ তিন মাস আরামে লুতুপুতু হয়ে যাওয়া শরীরের পক্ষে সারা দিনের ধকল সহ্য করতে পারা কষ্ট বইকি।

সপ্তাহ খানেক ক্লাশ করে যেটা বুঝতে পারলাম তা হলো আমরা অন্য সব ডিপার্টমেন্ট থেকে আলাদা। আমাদের সিনিয়ররা আমাদের র‍্যাগ দিয়ে চরম আনন্দ পায় যা আর কোন ডিপার্টমেন্টে নেই। তবে র‍্যাগ জিনিসটা যে একেবারে খারাপ তা বলবো না, কারণ এই র‍্যাগের কারণেই সিনিয়রদের সাথে আমরা খুব সহজেই পরিচিত হতে পেরেছি। তাই অন্য ডিপার্টমেন্টের বন্ধুরা যখন বলে যে সিনিয়রদের সাথে তাদের কোন যোগাযোগ নেই, তখন একটু অবাকই লাগে। আরও একটা জিনিস বুঝতে পারলাম, এখানে সব কিছু ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিতে হয়। আমার ডিজাইন স্যারের পছন্দ হবে কিনা সেটা বুঝার কোন উপায় নেই। সবচেয়ে বড় যে কথা সেটা হল, আর্কিটেকচার পড়তে চাইলে অবশ্যই পকেট ভারী থাকতে হবে।

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে যেটা আবিষ্কার করলাম সেটা হলো, স্টেজে পারফর্মার উঠলে তাকে দলগতভাবে পঁচিয়ে সবাই বিমলানন্দ পায়। আমাদের তো সিনিয়ররা পঁচানি দিচ্ছিলোই পাশাপাশি আমাদের ইমিডিয়েট সিনিয়র, যারা অনুষ্ঠান পরিকল্পনা করেছিলো তাদের সহ পঁচানো হচ্ছিলো। তবে এ কথা ঠিক যে, যাকে পচানো হয় সে ছাড়া বাকি সবাই ব্যাপারটা খুব উপভোগ করে। যেমন গান শুরু করার আগে গিটার টেস্ট করতে অনেকক্ষণ লাগছিলো বলে পিছন থেকে সব আপু ভাইয়ারা একসাথে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারীগানটার কোরাস ধরেছিলো। স্টেজে থাকা ভাইয়ারা তখন কি যে বিব্রত হয়েছিলো…………

একই ঘটনা দেখা গেলো পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে। সেখানে একটা হাই থট নাটক হচ্ছিলো যার নাম দুইয়ে দুইয়ে চার‘ ( অবশ্য আমার এক বন্ধুর ভাষ্য অনুযায়ী নাম হওয়া উচিত ছিলো মাথার স্ক্রু ঢিলাGrin )। তো যেহেতু হাই থট নাটক, তাই অর্থ বোধগম্য হবে না এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু আশ্চর্য হচ্ছে আমরা ভাষাটাও বুঝতে পারলাম না। তাই বারবার পিছন থেকে আবেদন আসছিলো, “সাবটাইটেল চাই” কিংবা ট্রানশলেশন করে দেন। খানিক পর সরাসরি আক্রমণ আসলো বন্ধ কর নাটক”, “ভাই মাফ করেন, আর না”। অবশেষে নাটক শেষ হবার সময়ও নানারকম খোঁচা মার্কা মন্তব্য করে বেচারা পারফর্মারদের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করা হলো।

আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে ভবিষ্যতে যখন কোন অনুষ্ঠান হবে সেখানেও এই পঁচানোর ধারা অব্যাহত থাকবে। এটাই হয়তো এই ডিপার্টমেন্টের ঐতিহ্য যা আর কোন ডিপার্টমেন্টে নাই।

ব্যস্ত আছি পোর্টফোলিও নিয়ে!

প্রায় তিন মাস হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর শেষ হলো আমার প্রথম লেভেল ওয়ান, টার্ম ওয়ান। এখন চলছে ছুটি। প্রায় তিন সপ্তাহ চলবে এই ছুটি। তারপর পরীক্ষা। কেমন হবে সেই পরীক্ষা সেই কথা আপাতত বাদ দেই। আসল কথা হচ্ছে ছুটি হলেও আমি শান্তিতে নেই। বানাতে হচ্ছে পোর্টফোলিও। গত তিন মাসের সব পাগলামি কাজকে ছবি সহ ফাইল বন্দী করতে হচ্ছে। ভয়ানক ঝামেলা।পোর্টফোলিও বানানোর অনেকগুলো ধাপ আছে।

প্রথম ধাপ হলো ২৭ টা প্রজেক্টের ছবি তোলা। কোনটা উপর থেকে, কোনটা সাইড থেকে, কোনটা কাত করে, কোনটা বাঁকা করে………ইত্যাদি ইত্যাদি। তার মধ্যে সবগুলোর ছবি আমার কাছে ছিলো না। অতপর বন্ধুদের ফোন দেওয়া, মেইল অ্যাড্রেস দেওয়া ছবি পাঠানোর জন্য………

দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে সুন্দর করে একটা পেইজ সেটআপ করা। ওপেন অফিস ড্রইং ব্যবহার করে টিচারদের দেওয়া মাপ মত পেইজ সেটআপ দেওয়া এবং রং ঠিক করা। এই কাজটায় বড় ভাইয়ায়া অনেক সাহায্য করেছে। ভাগ্যিস, এমন একটা ভাইয়া ছিলো!

তৃতীয় ধাপ হচ্ছে টেক্সট লিখা। সবচেয়ে বোরিং এবং সময় সাপেক্ষ কাজ।

চতুর্থ ধাপ হচ্ছে ছবি এডিট করা এবং মাপমত ক্রপ করা। ক্যানন ডিএসেলআরে তোলা ছবি এডিট করতে বেশি বেগ পেতে হয় নি যদিও, গিম্প ব্যবহার করে সহজেই এডিট আর ক্রপ করা হয়েছে। তবে ছবির সংখ্যাটা বেশি ছিলো।

পঞ্চম ধাপ হলো কভার পেইজ রেডি করা। ইঙ্কস্কেপ ব্যবহার করে এই কাজটাও ভাইয়া করে দিয়েছে।

ষষ্ঠ ধাপ হচ্ছে রিভিশন দেওয়া। এই চরম বোরিং কাজটা কে করবে জানি না।

সপ্তম ধাপ হচ্ছে নীলক্ষেতে নিয়ে পুরোটা প্রিন্ট করাতে হবে। ছবি আলাদা, টেক্সট আলাদা।

অষ্টম ধাপ, স্পাইরাল করাতে হবে।

নবম ধাপ, সব ছবি কেটে মাপমত আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।

দশম ধাপ, আবার দোকানে নিয়ে পুরোটা স্ক্যান করাতে হবে।

একাদশ ধাপ, সব সফট কপি আলাদা আলাদা ফোল্ডারে ভরে পেনড্রাইভে ঢুকাতে হবে।

দ্বাদশ ধাপ, বন্ধুদের সাথে একসাথে সবার সফট কপি সব বার্ণ করতে হবে।

ত্রয়োদশ ধাপ…………

(আমার পোস্ট এখানেই শেষ হলো। কারণ সব লিখতে থাকলে আমার আর আগামীকাল পোর্টফোলিও জমা দেয়া হবে না। দোয়া করবেন যাতে সব ধাপ শেষ করে আগামীকাল ভালোয় ভালোয় জমা দিতে পারি। )

ইন্ডিয়া-পাকিস্তান এবং আমার বাংলাদেশ

ক্লাশ নাইনে পড়ার সময় একদিনের ঘটনা। ইংরেজী টিচার জান্নাতুল ফেরদৌস শীলা আপার বাসায় পড়তে গিয়েছি। তখন চলছিলো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ঠিক আগের মুহূর্ত। টিভিতে কোন দলের প্র্যাক্টিস ম্যাচ চলছিলো। খুব সম্ভবত ভারতের কোন খেলা। ভারত সমর্থকরা খুব উত্তেজিত। চার কিংবা ছয় হলেই  অনেকে দৌড়িয়ে পাশের রুমে টিভি দেখতে চলে যাচ্ছিল আর অ্যান্টি ভারত সমর্থকরা টিটকারি দিচ্ছিলো সমানে। এক পর্যায়ে এক মেয়ে টিচারকে জিজ্ঞেস করলো, ‘আপা, আপনি কোন দল, ইন্ডিয়া না পাকিস্তান?’ আপা একটু হেসে বললেন, ‘আমি ইন্ডিয়া পাকিস্তান কোন দলকেই সাপোর্ট দেই না। আসলে আমার নিজের দেশ এত ভালো খেলছে যে অন্য কোন দেশ সাপোর্ট দেওয়ার দরকারই পড়ে না।’ উত্তর শুনে মেয়েটি একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। আপা মেয়েটিকে আরও বললেন, ‘তোমরা তো হিসাব বুঝো না। হিসাব করে দেখ, কয়দিন আগে প্র্যাক্টিস ম্যাচে আমরা নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছি। আর নিউজিল্যান্ড কয়েকদিন আগে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। সেই হিসাবে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের এক নম্বর দল। ‘ আপার কথাগুলো আমার মনে ধরলো। আরে তাই তো, বাংলাদেশ থাকতে অন্য দেশ সাপোর্ট দেওয়ার কি দরকার?

এবার আরও কয়েক বছর আগে ফিরে যাই। ‘৯৯ সালে আমি ক্লাশ টুতে পড়তাম। তখন যে দলটাকে দেখে আমি ক্রিকেট খেলা বুঝতে শিখেছিলাম সেটা হচ্ছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের সময় সাঈদ আনোয়ারের মারমার ব্যাটিং , শোয়েব আখতারের ১০০মাইল বেগে বোলিং, সাকলায়েন মুস্তাকের স্পিন, মঈন খানের ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং দেখে আমি তখন পাকিস্তান দলের বিশাল ফ্যান। ধীরে ধীরে আমি ক্রিকেট খেলাটা আরও ভালো করে বুঝতে লাগলাম। খেলা ছাড়াও অন্য কিছু ব্যাপারও বুঝতে শুরু করলাম। অবস্থা এমন হলো যে পাকিস্তান দলকে আর পছন্দের তালিকায় রাখতে পারলাম না।

বাংলাদেশ বাদে সমর্থন তো একটা বড় দলকে দিতে হবে। পাকিস্তানের সবচেয়ে উপযুক্ত বিকল্প হচ্ছে ইন্ডিয়া। কিন্তু ইন্ডিয়া দলটাকে আমি কোনভাবেই পছন্দ করতে পারলাম না। হয়তো তাদের ‘নাক উঁচা’ স্বভাবের জন্যই শচীন, শেবাগের মত ‘আগুনের গোলা’ থাকা সত্ত্বেও আমি কিছুতেই তাদের সমর্থন দিতে পারতাম না। আমি মহা মুশকিলে পড়ে যাই। সবাই জিজ্ঞেস করে ‘কোন দল-ইন্ডিয়া না পাকিস্তান?’ আমি কোন জবাব দিতে পারি না। সবাই এমনভাবে তাকায় যেন আমি নাদান শিশু, ক্রিকেটের কিছুই বুঝি না।

শীলা আপার কথায় আমার চিন্তা ভাবনা পালটে যায়। সত্যিই তো, বাংলাদেশ থাকতে আমি ইন্ডিয়া-পাকিস্তান বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলবো কেন? আমার ফেভারিট দল থাকবে একটাই, আর সেটা হবে বাংলাদেশ।আমি সাপোর্ট দিবো আমার নিজের দেশ বাংলাদেশকে। আমি বাংলাদেশের জন্য পতাকা কিনে ছাদে উড়াবো, বাংলাদেশের জন্য লাল সবুজ রঙ মাখবো, বাংলাদেশ জিতলে চিৎকার করে গলার রগ ছিড়ে ফেলবো, বাংলাদেশ হারলে মন খারাপ করবো (কিন্তু গালাগালি করে চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করবো না)। বাংলাদেশ থাকলে আমি থাকবো, বাংলাদেশ না থাকলে আমি সমর্থক হবো না, হবো স্রেফ দর্শক।

অন্য দেশের পতাকা নিয়ে, তাদের সমর্থন দিয়ে শুনতে হয় ‘বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপ সাধারণ’ বা ‘বাংলাদেশ হচ্ছে তেলাপোকার মতন’ এই জাতীয় কথা। আমার তাই কি দরকার তাদের সমর্থন দেওয়ার? একদিকে সমর্থনও দিবো অন্য দিকে তারা আমার দেশকে অপমান করবে সেটা মুখ বুজে সহ্য করবো, এত ধৈর্য্য আমার নাই। আমি সমর্থন দিবো আমার পাশের শহরে বেড়ে ওঠা ২০-২২ বছরের ছোটখাটো লিকলিকে কোন তরুনকে যে প্রায় দ্বিগুণ বয়সী এবং দ্বিগুন অভিজ্ঞ বিদেশি কোন খেলোয়াড়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করে। আমার প্রিয় খেলোয়াড় অবশ্যই এমন হবে না যার দলের জন্য মাঠে পতাকা নিয়ে সমর্থন দেওয়ার পরও শুনতে হবে, ‘আমরা যেন বাংলাদেশের সমর্থকদের মত না হই’। আমি সাপোর্টার আমার নিজের দেশের। জিতলেও এটা আমার দেশ, হারলেও এটা আমারই দেশ।

গতকালের ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ম্যাচ আমার কাছে তাই বিশেষ কিছু ছিলো না। এই ম্যাচ নিয়ে আমি আনন্দ-দুঃখ কোনটাই অনুভব করি নাই (অবশ্য পাকিস্তানের ব্যাটিং দেখে বিরক্ত লেগেছিলো)। আমার চিন্তা আমার দল নিয়ে, যারা এখন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আর চিন্তা করবো নাই বা কেন? আমার যে একটাই দল।

One Month Have Passed

I started my classes in BUET on 26 February. That means I have already spent a month there in the dream of being an architect.

Previously I have told that I had no interest in architecture. Even I have never dreamt of reading  architecture before. All I wanted to be an engineer. But life is not a bed of roses and I have realized it very well after the admission tests in different universities.

Now my aim has changed. I started a new type of life in BUET specially in architecture. It is just a dream like place where everyone is not the member of this materialistic earth. They live in a fantasy world more than in reality. Our teachers are very amazing although they really do not behave like ‘Teacher’.

I have now 55 new friends in my class. Most of them are ‘new’ and a few of them are familiar to me as we belonged to same school and college. But here we have discovered something new among our friendship as we discuss , work together or chat in most of the time.

Within one month, I have visited Karjon Hall( I have never visited it so closely), Sohrawardi Park, Lalbag Fort, Ahsan Manzil with my friends and I have enjoyed most of the journeys. It is very interesting to roam around with 55 students or in a small groups. People everywhere help us and give us a special concentration as we are from BUET. I really enjoy this.

The name of our batch is selected as DIMIK which means ‘binary’. We have selected it as we are ’10 batch. Let’s see what will happen in DIMIK in future.