ব্যস্ত আছি পোর্টফোলিও নিয়ে!

প্রায় তিন মাস হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর শেষ হলো আমার প্রথম লেভেল ওয়ান, টার্ম ওয়ান। এখন চলছে ছুটি। প্রায় তিন সপ্তাহ চলবে এই ছুটি। তারপর পরীক্ষা। কেমন হবে সেই পরীক্ষা সেই কথা আপাতত বাদ দেই। আসল কথা হচ্ছে ছুটি হলেও আমি শান্তিতে নেই। বানাতে হচ্ছে পোর্টফোলিও। গত তিন মাসের সব পাগলামি কাজকে ছবি সহ ফাইল বন্দী করতে হচ্ছে। ভয়ানক ঝামেলা।পোর্টফোলিও বানানোর অনেকগুলো ধাপ আছে।

প্রথম ধাপ হলো ২৭ টা প্রজেক্টের ছবি তোলা। কোনটা উপর থেকে, কোনটা সাইড থেকে, কোনটা কাত করে, কোনটা বাঁকা করে………ইত্যাদি ইত্যাদি। তার মধ্যে সবগুলোর ছবি আমার কাছে ছিলো না। অতপর বন্ধুদের ফোন দেওয়া, মেইল অ্যাড্রেস দেওয়া ছবি পাঠানোর জন্য………

দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে সুন্দর করে একটা পেইজ সেটআপ করা। ওপেন অফিস ড্রইং ব্যবহার করে টিচারদের দেওয়া মাপ মত পেইজ সেটআপ দেওয়া এবং রং ঠিক করা। এই কাজটায় বড় ভাইয়ায়া অনেক সাহায্য করেছে। ভাগ্যিস, এমন একটা ভাইয়া ছিলো!

তৃতীয় ধাপ হচ্ছে টেক্সট লিখা। সবচেয়ে বোরিং এবং সময় সাপেক্ষ কাজ।

চতুর্থ ধাপ হচ্ছে ছবি এডিট করা এবং মাপমত ক্রপ করা। ক্যানন ডিএসেলআরে তোলা ছবি এডিট করতে বেশি বেগ পেতে হয় নি যদিও, গিম্প ব্যবহার করে সহজেই এডিট আর ক্রপ করা হয়েছে। তবে ছবির সংখ্যাটা বেশি ছিলো।

পঞ্চম ধাপ হলো কভার পেইজ রেডি করা। ইঙ্কস্কেপ ব্যবহার করে এই কাজটাও ভাইয়া করে দিয়েছে।

ষষ্ঠ ধাপ হচ্ছে রিভিশন দেওয়া। এই চরম বোরিং কাজটা কে করবে জানি না।

সপ্তম ধাপ হচ্ছে নীলক্ষেতে নিয়ে পুরোটা প্রিন্ট করাতে হবে। ছবি আলাদা, টেক্সট আলাদা।

অষ্টম ধাপ, স্পাইরাল করাতে হবে।

নবম ধাপ, সব ছবি কেটে মাপমত আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।

দশম ধাপ, আবার দোকানে নিয়ে পুরোটা স্ক্যান করাতে হবে।

একাদশ ধাপ, সব সফট কপি আলাদা আলাদা ফোল্ডারে ভরে পেনড্রাইভে ঢুকাতে হবে।

দ্বাদশ ধাপ, বন্ধুদের সাথে একসাথে সবার সফট কপি সব বার্ণ করতে হবে।

ত্রয়োদশ ধাপ…………

(আমার পোস্ট এখানেই শেষ হলো। কারণ সব লিখতে থাকলে আমার আর আগামীকাল পোর্টফোলিও জমা দেয়া হবে না। দোয়া করবেন যাতে সব ধাপ শেষ করে আগামীকাল ভালোয় ভালোয় জমা দিতে পারি। )

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *